রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সুমনের অত্যাচার-নির্যাতনে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বাংলাদেশের অপরাজনীতির নিকৃষ্ট উদাহরণ পিরোজপুরের মহারাজ-মিরাজ মাধবপুরে টোল আদায় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-১৯ ময়মনসিংহের গৌরীপুরে স্কাউটের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন, সভাপতি-শাকিল ,সম্পাদক- ছাইফুল ! আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হাতছাড়া করব না: ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নতুন রেজিস্ট্রার শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার চিলাহাটিতে তেলের ড্রাম বিস্ফোরণে যুবকের মৃত্যু ডোমারে জাতীয় শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান ডোমারে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
নোয়াখালীতে দলবেঁধে বিধবাকে ধর্ষণ অতঃপর সালিশে মীমাংসা, আটক ৩

নোয়াখালীতে দলবেঁধে বিধবাকে ধর্ষণ অতঃপর সালিশে মীমাংসা, আটক ৩

আজ সোমবার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় দলবেঁধে এক বিধবাকে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশে জরিমানা ও কান ধরে উঠবস করিয়ে মীমাংসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন মো. রুবেল (২০), নূর নবী (২৪) ও আবুল কাশেম ওরফে মাছ কাশেম (৫০)।

 বিধবা জানান, তিন মাস আগে স্বামী মারা গেলে তিনি চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন।তাদের দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে (১২) চট্টগ্রামে তার সঙ্গে আর দেড় বছর বয়সী ছোট ছেলে বাড়িতে তার মায়ের সঙ্গে থাকে।“গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকালে বড় ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হই। রাত ১০টার দিকে ছাতারপাইয়া বাজারে থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য সেলিম নামে একজনের রিকশা ভাড়া নিই।”

তিনি অভিযোগ করেন, কিছুদূর যাওয়ার পর চালক রিকশা থামিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এ সময় নূর নবী ও রুবেল সেখানে হাজির হয়ে তাকে টেনে-হিঁছড়ে সড়ক থেকে একটু দূরে খাল পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করেন।এ সময় তার ছেলে কান্নাকাটি করলে তাকে ছোরার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে রাখে বলে জানান ওই নারী।

বিধবা আরও বলেন, এরপর স্থানীয় আবুল কাশেম ও মো. হানিফ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সালিশ বৈঠক করেন। সালিশে ধর্ষণের ঘটনায় নূর নবী ও রুবেল উপস্থিত থাকলেও সেলিম হাজির হননি।

“পরে মো. হানিফ, রুবেল ও নবীর ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার এবং সেলিমের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আবুল কাশেম নামে স্থানীয় মাতবর। সেই সঙ্গে সালিশে উপস্থিত রুবেল ও নূর নবীকে ১০ বার কান ধরে উঠবস করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।”

ওসি হারুন বলেন, দুপুরে পুলিশের একটি দল বিধবাকে মামলার জন্য থানায় নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নূর নবী, রুবেল ও আবুল কাশেমকে আটক করে। রুবেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

ধর্ষণ ও সালিশে ঘটনায় জড়িত বাকিরা পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com